প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ বানের পানিতে ভেসে গেছে লাখো বন্যার্তের ঈদ আনন্দ। সামর্থ্যবানদের সহায়তার দিকে তাকিয়ে আছেন অসহায় মানুষ। অনেকের কপালে জুটছে না খাবারও। জলমগ্ন বসতঘরেই কোনমতে চালিয়ে যাচ্ছেন টিকে থাকার লড়াই।
মহামারীতে উৎসবের রঙ ফিকে হয়েছে অনেকটাই। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বন্যা। কেমন কাটছে বানভাসিদের দিনটি?
থৈ থৈ পানি পেরিয়ে গন্তব্য শরীয়তপুরের নড়িয়ার নশাসন ইউনিয়ন। ডুবে থাকা একটি ঘরে আটকে যায় প্রতিবেদকের চোখ। নৌকায় করে সেই বাড়িতে গিয়ে জানা হলো বানভাসিদের দুঃখের কথা।
জলমগ্ন ঘরে ইট দিয়ে উঁচু করা খাটে চার সন্তান নিয়ে কোনোভাবে টিকে আছে কৃষক আরমানের পরিবার। ঈদের দিনে একটু মাংস রান্নার আশায় মসলা বাটছেন গৃহকর্ত্রী।
অন্যের জমিতে কাজ করে সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগানো আরমান তিন মাস ধরে বেকার। ঈদ তার কাছে হতাশায় পরিপূর্ণ।
বানভাসি কৃষক আরমান বলেন, ‘ঈদের আনন্দে কিছু কিনবারও পারি নাই। তিনমাস ধরে কাজ নেই। খুশি বলে কিছু নেই।’
চার সন্তানের কারো ভাগ্যেই জোটেনি নতুন কাপড়। এমনই দুর্বিষহ পানিবন্দী অবস্থা অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন